শতভাগ সফল, কোনো ব্যর্থতা নেই: ছাত্রলীগ সভাপতি

শতভাগ সফল, কোনো ব্যর্থতা নেই: ছাত্রলীগ সভাপতি

প্রায় তিন বছর ধরে দায়িত্ব পালনে শতভাগ সাফল্যের দাবি করেছেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ। বলেছেন, শতভাগ সাফল্য থাকলে ব্যর্থতা থাকার কারণ নেই।

আবার এক বছর আগে নেতিবাচক সংবাদ শিরোনাম না হওয়ার বিষয়ে শপথ করা ছাত্রলীগ নেতা এখন বলছেন, নেতিবাচক শিরেনাম নিয়ে ভাবেন না তিনি। এই শিরোনাম সাংবাদিকদের কারসাজি বলেও মনে করেন তিনি।

ছাত্রলীগের ২৯ তম জাতীয় সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করতে বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় ডাকা সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ছাত্রলীগ সভাপতি।

সংবাদ সম্মেলনে আগামী ১১ ও ১২ মে জাতীয় সম্মেলন করে নতুনদের হাতে নেতৃত্ব ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। এর আগে ২৪ এপ্রিল ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখা, ২৬ এপ্রিল ঢাকা উত্তর মহানগর শাখা এবং ২৯ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলন করার ঘোষণাও আসে।

২০১৫ সালের ২৬ ও ২৭ জুলাই সাইফুর রহমানকে সভাপতি ও এস এম জাকির হোসাইনকে সাধারণ সম্পাদক করে ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। গণতন্ত্র অনুযায়ী ছাত্রলীগের কমিটির মেয়াদ দুই বছর। কিন্তু প্রায় তিন ছর দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছে এই কমিটি।

দায়িত্ব পালন কালে তিন বছরের মূল্যায়ন জানতে চাইলে সোহাগ বলেন, ‘আমি তো মনে করি, শতভাগ সফল। শতভাগ সফলতার পরে কিন্তু ব্যর্থতা থাকে না।’

‘ছাত্রলীগের সভাপতি হিসাবে আমি নিজেকে ব্যর্থ মনে করছি না। আমরা যদি কোন ভুল করে থাকি তা আপনারা (সাংবাদিক) দেখবেন। তা ধরিয়ে দেয়ার দায়িত্ব আপনাদের।’

একই প্রশ্নে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন তার ও সোহাগের ব্যক্তিগত কিছু ব্যর্থতার কথা বলেন।

জাকির বলেন, ‘আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটি সকল কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করেছে। আমরা দুই ভাই (সোহাগ ও জাকির) মনে করি ছাত্রলীগের যত অর্জন আছে তা কেন্দ্রীয় কমিটি সকল নেতা ও ছাত্রলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের। অন্যদিকে সকল ব্যর্থতার দায়ভার আমাদের দুইজনের। তারপরও আমাদের সফলতা ও ব্যর্থতা নির্ধারণ করবে দেশের ছাত্রসমাজ ও জনগণ।’

নেতিবাচক শিরোনাম নিয়ে ভাবেন না সোহাগ

সোহাগ বলেন, ‘নেতিবাচক সংবাদের শিরোনামের দায়িত্ব আপনাদের (সাংবাদিক)। সংবাদের শিরোনাম কোনটা করবেন সেটা সম্পূর্ণ আপনাদেরেই বিষয়।‘

২০১৭ সালের ২৪ জানুয়ারি এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা ‘নেতিবাচক সংবাদের শিরোনাম না হওয়ার’ শপথ নেন। তার পরও নানা সময় নেতিবাচক সংবাদ হয়েছে ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধেই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ব্যক্তিগত বা অন্য কোনো বিরোধের দায়ও সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়।

উদাহরণ দিয়ে সোহাগ বলেন, ‘কোনো মানুষের শুধু একটি পরিচয়ই থাকে না। কোন বিভাগের দুই বন্ধু নিজেদের ভুল বুঝাবুঝির কারণে মারামারি হয়েছে, তারা দুইজনই ছাত্রলীগের কর্মী পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িতও হত। এর কোনটা শিরোনাম হবে তাঁর সিদ্ধান্ত আপনারাই নেন। আপনারা লিখবেন ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, বিষয়টা কিন্তু তা না। শিরোনামের নেগেটিভ পজেটিভ বিষয় নিয়ে আমরা ভাবি না।’

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির পাশাপাশি ঢাকা মহানগরের দুই কমিটি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স, ঢাকা উত্তর শাখার সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রহমান, দক্ষিণের সভাপতি বায়েজিদ আহমেদ খান ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ উপস্থিত ছিলেন না।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment